বাংলার মাটিতে আর অন্য সকল গ্রামের মতোই এক নির্ভৃত পল্লীতে থাকা একটি গ্রাম মহিপাড়া। রাজশাহী জেলার অন্তর্গত দূর্গাপুর উপজেলার শেষ সীমানায় ১৫ কিঃ মিঃ পূর্বে অবস্থিত এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেভরা মহিপাড়া গ্রাম।
আনুমানিক ১৯০৮ খ্রীঃ সমসাময়িককালে মহিপাড়া আদিবাসী গ্রামের সূচনা ঘটে। সময়ের আবর্তনের ফলে ১৯৩০-১৯৩৩ খ্রীঃ এর মাঝামাঝি এ গ্রামের লোকজন শিশনারীদের দ্বারা খ্রীষ্টধর্ম গ্রহন করে। আর তখন থেকেই এখানকার জনসাধারনের নতুন আলোরপথে যাত্রা শুরু হয় । এরই ফলশ্রুতিতে ১৯৪৭ খ্রীষ্টাব্দের পর সাওতাল আদিবাসীরা সম্পূর্ন নিজেদের উদ্যোগে বেড়া দ্বাড়া তৈরী নিজ ভাষায় সকল বয়সের লোকদের জন্য নাইট স্কুল আরম্ভ হয় । এমনিভাবে নিজ ভাষায় স্কুলটি চলতে থাকে প্রায় কয়েক বছর । মূলত এর উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে আসেন স্থানীয় জনসাধারণ ও খ্রীস্টান মিশনারীগন। এসময় শিক্ষাকতা পেশায় এগিয়ে আসেন মিঃ যোহন সরেন।
১৯৬৮ খ্রীঃ এর শুরুতেই স্কুলটিতে ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেনীতে বাংলা মাধ্যমে পাঠদান ১ম শুরু হয়। শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন শ্রী শীতল চন্দ্র সরকার ও মিঃ যোহন টুডু । স্কুলটি সচল, প্রানবন্ত মজবুত ও উন্নয়নের লক্ষে স্থানীয় জনসাধারণ মিশনারীদের সার্বিক সহযোগিতায় ১৯৬৯ খ্রীষ্টাব্দের শুরুর দিকে মাটির তৈরী দেয়াল দিয়ে একটি আধুনিক স্কুলের শুভ সূচনা ঘটে। কালের উত্থান-পতনের ফলে ১৯৭২ খ্রীষ্টব্দে, পূনরায় শুরু হয় বহু বাধা অতিক্রম করে এই পর্যন্ত পূর্ন প্রাথমকি বিদ্যালয় রুপে চলমান রয়েছে। আর এই চলমান অবস্থাতে স্কুলটি ২০১০ খ্রীস্টাব্দ থেকে সেন্ট এ্যান্টনী প্রাথামিক বিদ্যালয় নামে রুপান্তরিত করা হয়েছে ।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS