Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

একটি বাড়ি একটি খামার

 

৩ নং পানানগর ইউনিয়নে একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্প চালু রয়েছে

এখানে একটি করে সমিতির দল গঠন করা হয়েছে ৫০-৬০ জন সদস্য নিয়ে

 

কর্মসূচির মেয়াদঃ জুলাই’ ২০০৯ হতে জুন’২০১৩ পর্যন্ত সরকারী অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে। জুলাই’২০১৩ থেকে জুন’২০১৬ পর্যন্ত প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায় গ্রহণ ও বাস্তবায়ন শেষে বিআরডিবি’র ব্যবস্থাধীনে অথবা একটি স্বতন্ত্র পল্লী উন্নয়ন কর্মসূচি ফাউন্ডেশন হিসেবে বাস্বতায়ন অব্যাহত থাকবে।

 

প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঃ

লক্ষ্য:

‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য প্রতিটি পরিবারকে মানব ও অর্থনৈতিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে টেকসই আর্থিক কার্যক্রমের একক হিসেব গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে ২০১৫ সালের মধ্যে জাতীয় দারিদ্র ২০%-এ নামিয়ে আনা।

 

সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সমূহ:

প্রথম পর্যায়ে প্রতি উপজেলার ৩৬টি গ্রাম হিসেবে মোট ১,৭৩৮৮ গ্রামের দরিদ্র ও অতিদরিদ্র পরিবারকে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করা এবং পর্যায়ক্রমে দেশের সকল (৮৫০০০) গ্রামের ৫১ লক্ষ দরিদ্র/অতিদরিদ্র (প্রতি গ্রামে ৬০টি) পরিবারসহ সমিতিভূক্ত সকল পরিবারকে গ্রাম সংগঠনের মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামকে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের মূল কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা।

২০১৩ সালের মধ্যে প্রকল্পাধীন সকল গ্রামের প্রতিটি পরিবারকে কৃষি, মৎস্যচাষ, পশুপালন ইত্যাদি কাজের মাধ্যমে একটি কার্যকর ‘‘খামার বাড়ি’’ হিসেবে গড়ে তোলা।

২০১১ সালের মধ্যে প্রকল্পাধীন প্রতি গ্রাম থেকে ৫ জন করে (কৃষি, পশুপালন, হাঁস-মুরগী পালন, মৎস্য চাষ, বৃক্ষ নার্সারী ও হটিকালচার ট্রেডের প্রতি বিষয়ে একজন) মোট ৮৬,৯৪০ জন সদস্যকে জীবিকাভিত্তিক প্রশিক্ষণ দিয়ে খামার স্বেচ্ছাসেবী গঠন করা এবং অন্যান্য বিষয়ে গ্রামকর্মী সৃজন করা।

২০১২ সালের জুনের মধ্যে ঋণ সহায়তার মাধ্যমে নিজে/সদস্যদের নিয়ে প্রতি গ্রামে ৫টি করে বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষিত কর্মীদের বাড়ীতে মোট ৮৬,৯৪০ টি প্রদর্শণী খামার গড়ে তোলা।

বর্ণিত খামার স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় আগামী ২০১৩ সালের মধ্যে সরাসরি উপকারভোগী কমপক্ষে ৯,৫৬,৩৪০ পরিবারসহ গ্রামের অন্যান্য পরিবারে অনুরূপ খামার বা জীবিকাভিত্তিক কার্যক্রম নিশ্চিত করা।

২০১৩ সালের মধ্যে অনিবাসী ভূমি মালিকদের ভূমিসহ গ্রামীণ সকল সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার ও সম্পত্তির মালিকানা নিশ্চিত করা।

২০১৩ সালের মধ্যে প্রকল্প থেকে গ্রাম সংগঠনের অতিদরিদ্র/দরিদ্র সদস্যদের মাসিক সঞ্চয়ের বিপরীতে সমপরিমান কন্ট্রিবিউটরি মাইক্রোসেভিংস প্রদানের মাধ্যমে প্রতিটি পরিবারের ব্যক্তি সঞ্চয় বছরে ন্যূনতম ৫,০০০/= টাকায় উনড়বীত করা যা ২ বছরে ১০ হাজার এবং ৫ বছরে ৪০ হাজার টাকায় উনড়বীত হবে।

ব্যক্তি তহবিলে কন্ট্রিবিউটরী অর্থের অতিরিক্ত প্রতিটি সংগঠনকে বছরে তাদের নিজস্ব সঞ্চয়ের সমপরিমাণ প্রকল্প থেকে মূলধন সহায়তার মাধ্যমে দু’বছরে মোট ৯,০০,০০০/= টাকা গ্রাম সংগঠন তহবিল গড়ে তোলা।

প্রধান কৃষি ফসলের পাশাপাশি আদা, হলুদ, পিঁয়াজ, রসুন, জিরা, মসলা, বিভিনড়ব ফল এবং অন্যান্য অপ্রধান কৃষি ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রতিটি বাড়ী সংশিষ্টল জমি ব্যবহার করা।

মাছ চাষের পাশাপাশি গ্রামীণ জনগণের মাধ্যমে অন্যান্য কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা।

উপজেলা পর্যায়ে বর্তমান সুবিধা (বিআরডিবি/বিএডিসি’র গোডাউন) ব্যবহার করে একটি করে সমবায়ভিত্তিক বাজার ব্যবস্থাপনা, প্রক্রিয়াজাত করণ ও সংরক্ষণ (হিমাগারসহ) ব্যবস্থা গড়ে তোলা।

কৃষিজাত পণ্যের সমবায় ভিত্তিতে মার্কেটিং ও প্রক্রিয়াজাত করার বিষয়ে লাগসই প্রযুক্তি ব্যবহারের কার্যক্রম গ্রহণ করা।

 

৪। অভিষ্ঠ জনগোষ্ঠি (Targetted Beneficiaries)

গ্রামীণ জনপদের দরিদ্র জনগোষ্ঠী হবে এই প্রকল্পের মূল ও প্রাথমিক উপকারভোগী। গ্রামের অন্যান্য পর্যায়ের সকল অধিবাসী হবে সেকেন্ডারী উপকারভোগী। প্র ম পর্যায়ে প্রকল্পের অধীনে মোট ১৭,৩৮৮ গ্রামে পরিবারের সংখ্যা ন্যূনতম ১,০৪৩,২৮০ (১৭,৩৮৮ গ্রাম ৬০ পরিবার= ১,০৪৩,২৮০ পরিবার) অতি দরিদ্র/দরিদ্র পরিবার। প্রত্যক্ষ উপকারভোগী কমপক্ষে ৫২ লক্ষ ১৬ হাজার ( পরিবার প্রতি ০৫ জন সদস্য) এবং পরোক্ষভাবে উপকারভোগীর সংখ্যা অনেক বেশী। প্রকল্প বাস্তবায়নে উপকারভোগী বাছাই থেকে শুরচ করে সকল পর্যায়ের কাজ যথার্থভাবে বাস্তবায়ন করে প্রাথমিকভাবে ৬০টি এবং পর্যায়ক্রমে সম্ভাব্য সকল বাড়িতে একটি বাড়ি একটি খামার সৃজনের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপড়ব দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে।

 

৫। গ্রাম নির্বাচন এবং গ্রাম সংগঠনের নামকরণঃ

প্রাচীনকাল থেকেই গ্রাম এ জনপদের একটি অখন্ড সত্ত্বা এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রমের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু। শহরায়ন, পেশা, শিক্ষা, ব্যবসা এবং অন্যান্য কারনে গ্রাম থেকে শহরমুখী হওয়ায় অনেক গ্রামীণ পেশার বিলুপ্তিসহ গ্রামীণ সমাজে অনেক পরিবর্তন হলেও দেশের অধিকাংশ লোক গ্রামে বাস করে এবং তাদের মধ্যে সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক বন্ধন অনেক বেশী সুদৃঢ়।

 

সামাজিক মূল্যবোধ তথা সোসাল ক্যাপিটাল গ্রামের মানুষের মধ্যে বেশী। সামাজিক, সাংস্কৃতিক বন্ধন সম্বলিত গ্রামীণ মানুষের সোসাল ক্যাপিটালের মাধ্যমে ‘‘এক গ্রাম এক সমিতি’’ গঠন করে এ সোসাল ক্যাপিটালকে এ প্রকল্পের আওতায় আরও সুসংহত করার প্রয়াস নেয়া হয়েছে।

 

প্রতি গ্রামে গ্রাম উন্নয়ন সমিতি গঠন করে গ্রামের সকলকে এর আওতায় এনে যোগ্যতা অনুযায়ী দরিদ্র মানুষের বিষয়ভিত্তিক দক্ষতা বৃদ্ধি (হিউম্যান ক্যাপিটাল) এবং সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে দরিদ্র ব্যক্তিসহ সকলের অর্থনৈতিক অবস্থার (ইকোনমিক ক্যাপিটাল) উন্নয়নের জন্য এ প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের সকল গ্রামের দরিদ্র জনগণসহ অপরাপর জনগণকে সম্পৃক্ত করে ‘‘একটি বাড়ি একটি খামার’’ প্রকল্প বাস্বতায়ন এবং তা অব্যাহত রাখার প্রয়াস নেয়া হয়েছে।

 

একটি গ্রামে সাধারণত ২০০ থেকে ৩০০ পরিবার বসবাস করে। আবার কম পরিবার নিয়েও কোন কোন গ্রাম আছে। ৩০০ পরিবারের বেশী আছে এমন গ্রাম যে নেই তাও নয়। ইউনিয়ন পরিষদের নির্দিষ্ট সীমানা এবং ওয়ার্ড ভিত্তিক সীমানা ও কার্যক্রম আছে। এ সীমানা ও কার্যক্রমকে ভিত্তি করে প্রথম পর্যায়ে প্রতি ইউনিয়নের প্রতি ওয়ার্ডকে ০১টি ইউনিট গণ্য করে ১টি গ্রাম সংগঠন গড়ে তুলতে হবে।

 

একটি ইউনিটে ০২ এর বেশি গ্রাম থাকলে একাধিক গ্রাম একত্র করে গ্রাম সংগঠন গঠিত হবে। এরূপ একাধিক গ্রামের সমন্বয়ে গ্রাম সংগঠন গঠিত হলে যে গ্রামে পরিবারের সংখ্যা বেশি সে গ্রামের নাম আগে বসবে। গ্রামের নামের ক্ষেত্রে নিম্নরূপ পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। যৌথভাবে গঠিত একটি গ্রাম উন্নয়ন সমিতির নাম ’আদর্শনগর-রূপনগর গ্রাম উন্নয়ন সমিতি’। এ যৌথ গ্রাম উন্নয়ন সংগঠন গঠিত হয়েছে আদর্শনগর ও রূপনগর দুটি গ্রামের সমন্বয়ে। এ সংগঠনের বেশিরভাগ সদস্য আদর্শ নগর গ্রামের।

 

বাংলাদেশে বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদের সংখ্যা ৪৫০১টি। প্রথম পর্যায়ে প্রকল্পের আওতায় ১,৯৩২টি ইউনিয়নে (প্রতি উপজেলায় ৪টি) কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। প্রতি ইউনিয়নে ০৯টি ওয়ার্ড হিসেবে প্রতি ইউনিয়নে গ্রাম সংগঠন তৈরি হবে ৯টি এবং ১,৯৩২টি ইউনিয়নে সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির সংখ্যা হবে ১৭,৩৮৮টি।