Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

বিআরডিবি

 

অংশীদারিত্ব মূলক পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প- ২ (পি,আর,ডি,পি)

 

বাংলাদেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থা কেন্দ্র জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ব্যাপৃত। কেন্দ্র থেকে উপজেলা পর্যন্ত সুবিন্যস্ত প্রশাসনিক কাঠামো রয়েছে। গড়ে ২,৫০,০০০ লোক নিয়ে উপজেলা গঠিত যা একটি অপরিহার্য স্থায়ী সরকার প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান জনগনকে কৃষি শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য বিষয়ে সেবা প্রদান করে থাকে। উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি বিভাগ সমূহ (এক কথায় জাতি গঠনমূলক বিভাগ সমূহ) তাদের সমপ্রসারন কর্মীর মাধ্যমে ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে নিয়ীমত পরিদর্শন এবং সেবা প্রদান করার কথা কিন্তু বিভিন্ন বিভাগের ইউনিয়ন পর্যায়ের সম্প্রসারন কর্মীর সংখ্যা অপ্রতুল এবং জাতিগঠনমূলক বিভাগ সমূহের মধ্যে সমন্বয় অত্যন্ত দুর্বল। যার ফলে গ্রামের অধিকাংশ জনগন তাদের সেবা যথাথভাবে পাচ্ছে না এবং জনগন তাদের প্রত্যাশি সেবাহতে বঞ্চিত হচ্ছে।

 

উদ্দেশ্যঃ-পি,আর,ডি,পি-২ (২য় সংশোধিত) প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল প্রকল্প এলাকায় সফলভাবে লিংক মডেল বাস্তবায়ন এবং সম্প্রসারন ঘটানো। গ্রামীন জনগনের সার্বিক জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড ও সেবা সমূহ প্রাপ্তির নিশ্বয়তা বিধানের লক্ষ্যে লিংক মডেলের মাধ্যমে স্থানীয় সকল সুবিধাভোগীদের (গ্রামবাসী, ইউপি, সরকারী ও বেসরকারী সংস্থার প্রতিনিধিদের) মধ্যে উলম্ব (Vertieal) ও সমান্তরাল (Horizontal) সংযোগ স্থাপন পূর্বক লিংক মডেলকে টেকশই পল্লী উন্নয়নের মডেল হিসাবে দাড় করিয়ে সমন্বিত পল্লী উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে অব্যাহত রাখা।

 

 

সমবায় সমিতির সুফলভোগীদের তালিকা

 

 

 

ক্রমিক নং

সমিতির নাম

ওয়ার্ড নং

1.       

ধরমপুর কে এস এস লিঃ

০১

2.      

নারায়নপুর কে এস এস লিঃ

০৪

3.     

নারায়নপুর পশ্চিম কে এস এস লিঃ

০৪

 

 

 

 

------------------------------------------------------------------------------------------------------------

 

 

 

সমন্বিত দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচী (সদাবিক)

 

সরকারের দারিদ্র বিমোচনের অঙ্গিকার বাস্তবায়নে এ কর্মসূচী দ্বারা পল্লী এলাকার অবহেলিত বিত্তহীন পুরুষ ও মহিলাদের অনানুষ্ঠানিক দল ভূক্ত করে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, জীবন যাত্রার গুনগত মান উন্নয়ন, পরিবেশ সংরক্ষন, প্রশিক্ষন ও সঞ্চয় জমার মাধ্যমে আয় বর্ধন মূলক কর্ম কান্ড ভিত্তিক ঋন কার্যক্রম পরিচালনা, মানব সম্পদ উন্নয়ন, মহিলাদের সচেতনতা ও ক্ষমতায়নের সুযোগ সৃষ্টি কর্মসূচির মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। দারিদ্র বিমোচনের লক্ষে রাজস্ব বাজেট ভূক্ত-এ কর্মসূচী টি বাস্তবায়নের দায়িত্ব বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বি,আর,ডি,বি) হাতে নিয়েছে। এরই ফলশ্রতিতে ২০০৩-২০০৪ ইং অর্থ বছরের দুর্গাপুর উপজেলা এ প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়। অদ্যবধি দুর্গাপুর উপজেলায় বিভিন্ন গ্রামে সফলতার সহিত কর্যক্রম পরিচালনা করিয়া আসিতেছে।

 

 

--------------------------------------------------------------------------------------------

 

 

২.৫ কর্মসূচির মেয়াদঃ জুলাই’ ২০০৯ হতে জুন’২০১৩ পর্যন্ত সরকারী অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে। জুলাই’২০১৩ থেকে জুন’২০১৬ পযর্ম ত প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায় গ্রহণ ও বাস্তবায়ন শেষে বিআরডিবি’র ব্যবস্থাধীনে অথবা একটি স্বতন্ত্র পলীল উনড়বয়ন কর্মসূচি ফাউন্ডেশন হিসেবে বাস্বতায়ন অব্যাহত থাকবে।

 

৩. প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঃ

৩.১ লক্ষ্য:

‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য প্রতিটি পরিবারকে মানব ও অর্থনৈতিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে টেকসই আর্থিক কার্যμমের একক হিসেব গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে ২০১৫ সালের মধ্যে জাতীয় দারিদ্র ২০%-এ নামিয়ে আনা।

৩.২ সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সমূহ:

প্র ম পর্যায়ে প্রতি উপজেলার ৩৬টি গ্রাম হিসেবে মোট ১,৭৩৮৮ গ্রামের দরিদ্র ও অতিদরিদ্র পরিবারকে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করা এবং পর্যায়μমে দেশের সকল (৮৫০০০) গ্রামের ৫১ লক্ষ দরিদ্র/অতিদরিদ্র (প্রতি গ্রামে ৬০টি) পরিবারসহ সমিতিভূক্ত সকল পরিবারকে গ্রাম সংগঠনের মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামকে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের মূল কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা।

২০১৩ সালের মধ্যে প্রকল্পাধীন সকল গ্রামের প্রতিটি পরিবারকে কৃষি, মৎস্যচাষ, পশুপালন ইত্যাদি কাজের মাধ্যমে একটি কার্যকর ‘‘খামার বাড়ি’’ হিসেবে গড়ে তোলা।

২০১১ সালের মধ্যে প্রকল্পাধীন প্রতি গ্রাম থেকে ৫ জন করে (কৃষি, পশুপালন, হাঁস-মুরগী পালন, মৎস্য চাষ, বৃক্ষ নার্সারী ও হটিকালচার ট্রেডের প্রতি বিষয়ে একজন) মোট ৮৬,৯৪০ জন সদস্যকে জীবিকাভিত্তিক প্রশিক্ষণ দিয়ে খামার স্বেচ্ছাসেবী গঠন করা এবং অন্যান্য বিষয়ে গ্রামকর্মী সৃজন করা।

২০১২ সালের জুনের মধ্যে ঋণ সহায়তার মাধ্যমে নিজে/সদস্যদের নিয়ে প্রতি গ্রামে ৫টি করে বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষিত কর্মীদের বাড়ীতে মোট ৮৬,৯৪০ টি প্রদর্শণী খামার গড়ে তোলা।

বর্ণিত খামার স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় আগামী ২০১৩ সালের মধ্যে সরাসরি উপকারভোগী কমপক্ষে ৯,৫৬,৩৪০ পরিবারসহ গ্রামের অন্যান্য পরিবারে অনুরূপ খামার বা জীবিকাভিত্তিক কার্যμম নিশ্চিত করা।

২০১৩ সালের মধ্যে অনিবাসী ভূমি মালিকদের ভূমিসহ গ্রামীণ সকল সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার ও সম্পত্তির মালিকানা নিশ্চিত করা।

২০১৩ সালের মধ্যে প্রকল্প থেকে গ্রাম সংগঠনের অতিদরিদ্র/দরিদ্র সদস্যদের মাসিক সঞ্চয়ের বিপরীতে সমপরিমান কন্ট্রিবিউটরি মাইμμা সেভিংস প্রদানের মাধ্যমে প্রতিটি পরিবারের ব্যক্তি সঞ্চয় বছরে ন্যূনতম ৫,০০০/= টাকায় উনড়বীত করা যা ২ বছরে ১০ হাজার এবং ৫ বছরে ৪০ হাজার টাকায় উনড়বীত হবে।

ব্যক্তি তহবিলে কন্ট্রিবিউটরী অর্থের অতিরিক্ত প্রতিটি সংগঠনকে বছরে তাদের নিজস্ব সঞ্চয়ের সমপরিমাণ প্রকল্প থেকে মূলধন সহায়তার মাধ্যমে দু’বছরে মোট ৯,০০,০০০/= টাকা গ্রাম সংগঠন তহবিল গড়ে তোলা।

প্রধান কৃষি ফসলের পাশাপাশি আদা, হলুদ, পিঁয়াজ, রসুন, জিরা, মসলা, বিভিনড়ব ফল এবং অন্যান্য অপ্রধান কৃষি ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রতিটি বাড়ী সংশিষ্টল জমি ব্যবহার করা।

মাছ চাষের পাশাপাশি গ্রামীণ জনগণের মাধ্যমে অন্যান্য ধয়ঁধঃরপ পঁষঃঁৎব কার্যμম সম্প্রসারণ করা।

উপজেলা পর্যায়ে বর্তমান সুবিধা (বিআরডিবি/বিএডিসি’র গোডাউন) ব্যবহার করে একটি করে সমবায়ভিত্তিক বাজার ব্যবস্থাপনা, প্রμμয়াজাত করণ ও সংরক্ষণ (হিমাগারসহ) ব্যবস্থা গড়ে তোলা।

কৃষিজাত পণ্যের সমবায় ভিত্তিতে মার্কেটিং ও প্রμμয়াজাত করার বিষয়ে লাগসই প্রযুক্তি ব্যবহারের কার্যμম গ্রহণ করা।

 

৪। অভিষ্ঠ জনগোষ্ঠি (Targetted Beneficiaries)

গ্রামীণ জনপদের দরিদ্র জনগোষ্ঠী হবে এই প্রকল্পের মূল ও প্রাথমিক উপকারভোগী। গ্রামের অন্যান্য পর্যায়ের সকল অধিবাসী হবে সেকেন্ডারী উপকারভোগী। প্র ম পর্যায়ে প্রকল্পের অধীনে মোট ১৭,৩৮৮ গ্রামে পরিবারের সংখ্যা ন্যূনতম ১,০৪৩,২৮০ (১৭,৩৮৮ গ্রাম৬০ পরিবার= ১,০৪৩,২৮০ পরিবার) অতি দরিদ্র/দরিদ্র পরিবার। প্রত্যক্ষ উপকারভোগী কমপক্ষে ৫২ লক্ষ ১৬ হাজার ( পরিবার প্রতি ০৫ জন সদস্য) এবং পরোক্ষভাবে উপকারভোগীর সংখ্যা অনেক বেশী। প্রকল্প বাস্তবায়নে উপকারভোগী বাছাই থেকে শুরচ করে সকল পর্যায়ের কাজ যথার্থভাবে বাস্তবায়ন করে প্রাথমিকভাবে ৬০টি এবং পর্যায়μমে সম্ভাব্য সকল বাড়িতে একটি বাড়ি একটি খামার সৃজনের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপড়ব দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে।

 

৫। গ্রাম নির্বাচন এবং গ্রাম সংগঠনের নামকরণঃ

প্রাচীনকাল থেকেই গ্রাম এ জনপদের একটি অখন্ড সত্ত্বা এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক কার্যμমের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু। শহরায়ন, পেশা, শিক্ষা, ব্যবসা এবং অন্যান্য কারনে গ্রাম থেকে শহরমুখী হওয়ায় অনেক গ্রামীণ পেশার বিলুপ্তিসহ গ্রামীণ সমাজে অনেক পরিবর্তন হলেও দেশের অধিকাংশ লোক গ্রামে বাস করে এবং তাদের মধ্যে সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক বন্ধন অনেক বেশী সুদৃঢ়।

সামাজিক মূল্যবোধ তথা সোসাল ক্যাপিটাল গ্রামের মানুষের মধ্যে বেশী। সামাজিক, সাংস্কৃতিক বন্ধন সম্বলিত গ্রামীণ মানুষের সোসাল ক্যাপিটালের মাধ্যমে ‘‘এক গ্রাম এক সমিতি’’ গঠন করে এ সোসাল ক্যাপিটালকে এ প্রকল্পের আওতায় আরও সুসংহত করার প্রয়াস নেয়া হয়েছে।

প্রতি গ্রামে গ্রাম উনড়বয়ন সমিতি গঠন করে গ্রামের সকলকে এর আওতায় এনে যোগ্যতা অনুযায়ী দরিদ্র মানুষের বিষয়ভিত্তিক দক্ষতা বৃদ্ধি (হিউম্যান ক্যাপিটাল) এবং সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে দরিদ্র ব্যক্তিসহ সকলের অর্থনৈতিক অবস্থার (ইকোনমিক ক্যাপিটাল) উনড়বয়নের জন্য এ প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের সকল গ্রামের দরিদ্র জনগণসহ অপরাপর জনগণকে সম্পৃক্ত করে ‘‘একটি বাড়ি একটি খামার’’ প্রকল্প বাস্বতায়ন এবং তা অব্যাহত রাখার প্রয়াস নেয়া হয়েছে।

একটি গ্রামে সাধারণত ২০০ থেকে ৩০০ পরিবার বসবাস করে। আবার কম পরিবার নিয়েও কোন কোন গ্রাম আছে। ৩০০ পরিবারের বেশী আছে এমন গ্রাম যে নেই তাও নয়। ইউনিয়ন পরিষদের নির্দিষ্ট সীমানা এবং ওয়ার্ডভিত্তিক সীমানা ও কার্যμম আছে। এ সীমানা ও কার্যμমকে ভিত্তি করে প্র ম পর্যায়ে প্রতি ইউনিয়নের প্রতি ওয়ার্ডকে ০১টি ইউনিট গণ্য করে ১টি গ্রাম সংগঠন গড়ে তুলতে হবে।

একটি ইউনিটে ০২ এর বেশি গ্রাম থাকলে একাধিক গ্রাম একত্র করে গ্রাম সংগঠন গঠিত হবে। এরূপ একাধিক গ্রামের সমন্বয়ে গ্রাম সংগঠন গঠিত হলে যে গ্রামে পরিবারের সংখ্যা বেশি সে গ্রামের নাম আগে বসবে। গ্রামের নামের ক্ষেত্রে নিমড়বরূপ পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। যৌথভাবে গঠিত একটি গ্রাম উনড়বয়ন সমিতির নাম ’আদর্শনগর-রূপনগর গ্রাম উনড়বয়ন সমিতি’। এ যৌথ গ্রাম উনড়বয়ন সংগঠন গঠিত হয়েছে আদর্শনগর ও রূপনগর দুটি গ্রামের সমন্বয়ে। এ সংগঠনের বেশিরভাগ সদস্য আদর্শ নগর গ্রামের।

বাংলাদেশে বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদের সংখ্যা ৪৫০১টি। প্র ম পর্যায়ে প্রকল্পের আওতায় ১,৯৩২টি ইউনিয়নে (প্রতি উপজেলায় ৪টি) কার্যμম পরিচালনা করা হবে। প্রতি ইউনিয়নে ০৯টি ওয়ার্ড হিসেবে প্রতি ইউনিয়নে গ্রাম সংগঠন তৈরি হবে ৯টি এবং ১,৯৩২টি ইউনিয়নে সার্বিক গ্রাম উনড়বয়ন সমবায় সমিতির সংখ্যা হবে ১৭,৩৮৮টি।